ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ঝুকি – ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাহলে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সম্পর্কে জেনে নেয়ার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি আমাদের মনের মধ্যে প্রায়শই ঘুরপাক খেতে পারে, সেটি হল ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ঝুকি কি হতে পারে? বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা আসলে কি?

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্ত ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন যা মূলত ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর একজন ইন্টারনেট ব্যাংকিং গ্রাহক হিসেবে আপনাকে এই সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং আসলে কি?

একেবারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে এটা বলতে হবে আপনি যদি ব্যাংকিং কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারেন কিংবা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে পারেন তাহলে সেটিকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বলে আখ্যায়িত করা হবে।

এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সংক্রান্ত একটি আল্টিমেট গাইড জেনে নিতে চাইলে সেই সংক্রান্ত তথ্য নিম্নলিখিত আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন।

জেনে নিন: ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর আদ্যোপান্ত

ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ঝুকি কি?

যেহেতু ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের যে কার্যক্রম রয়েছে সেটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অনলাইন এর মাধ্যমে এই ব্যাংকিং কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।

কি সেই সমস্ত ঝুঁকি? যার সম্মুখীন আপনি হতে চলেছেন? অথবা এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারে যে সমস্ত ঝুঁকি রয়েছে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • ব্যক্তিগত তত্ত্বের সিকিউরিটির অনিশ্চয়তা।
  • যে কোন সময় অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের হাতে জিম্মি হওয়া।
  • দুর্বল ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। ইত্যাদি।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং অন্যতম ঝুঁকি হিসেবে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। তাহলে আর দেরি না করে এখনই এই সমস্ত বিষয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ব্যক্তিগত তথ্যের অনিশ্চয়তা

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের অন্যতম একটি সমস্যা রয়েছে আর এই সমস্যাটিকে বলা হয় ব্যক্তিগত তথ্যের অনিশ্চয়তা।

কারণ, আপনার এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্ট ব্যবহারের যে অন্যতম সিকিউরিটি ধাপ রয়েছে সেটি হল আপনার একাউন্টে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড। আপনি যখন একটি ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্ট তৈরি করেন তখন ব্যাংক থেকে আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেয়া হয়।

এবার কেউ যদি আপনার এই ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পেয়ে যায় তাহলে সেই ব্যক্তি খুব সহজেই আপনার একাউন্টের অ্যাক্সেস নিয়ে নিতে পারে।

আবার এরকম অনেক ব্যাংক রয়েছে যে সমস্ত ব্যাংকের মধ্যে কোন রকমের টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেম ওপেন করা নেই। যার কারণে যে কেউ সহজে ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিতে পারে।

আর যখনই কোন ব্যক্তি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার একাউন্টে লগইন করে নেবে, তখন আপনার একাউন্টটি তার অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং সেই ব্যক্তি নিমিষে সে তার ইচ্ছামতো আপনার সমস্ত পার্সোনাল তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারে।

অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া

যে কেউ যখন আপনার একাউন্টে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড নিজের দখলে নিয়ে নিতে পারবেন, তখনই সেই ব্যক্তি আপনার একাউন্টের দখল প্রাপ্ত একজন জিম্মাদার হয়ে যাবে।

এবং যখনই কোন ব্যক্তি একাউন্টের দখল প্রাপ্ত কিংবা একাউন্টে নিজের আওতাধীনে নিয়ে নিবে তখন সেই ব্যক্তি চাইলে আপনার একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবে এবং আপনার একাউন্ট ব্যবহার করে যে কোন রকমের লেনদেন করতে পারবে।

সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যাংকের ভেরিফিকেশন সার্ভিসটি চালু করা নেই সে সমস্ত অ্যাকাউন্ট খুবই দুর্বল একাউন্ট হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

আর যখনই যে কেউ আপনার একাউন্ট হ্যাক করে নিবে কিংবা নিজের দখলে নিয়ে নিবে তখন সেই ব্যক্তি চাইলে আপনার একাউন্টের সমস্ত টাকা নিজের দখলে নিয়ে নিতে পারবে এবং সেই ব্যক্তি একই সাথে আপনার একাউন্টে টাকা অন্য আরেকটা একাউন্টে লেনদেন করে নিতে পারবে।

সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের অন্যতম মারাত্মক ঝুঁকি হিসেবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়া চিহ্নিত করা হয়। সেজন্য আপনাকে এই তথ্যগুলো সুরক্ষিত স্থানে রাখতে হবে।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

এছাড়াও আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত লিংকে ভিজিট করার মাধ্যমে সুবিধা – অসুবিধা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।

জেনে নিন: ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

Fancy Subscribe Button
     

Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!

     

নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top