আপনি যদি পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে চান, তাহলে পাসপোর্ট ফি জমা ব্যাংক এর মাধ্যমে সঠিকভাবে জমা দিতে পারেন সেটা জেনে নিতে পারেন।
কিভাবে পাসপোর্ট ফি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিবেন সেই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে। সেজন্য আপনি যদি পাসপোর্ট ফি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে নিতে পারেন।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
পাসপোর্ট ফি জমা ব্যাংক এরমধ্যে কোন ব্যাংক রয়েছে?
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আপনি যে সমস্ত ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারেন। সে সমস্ত ব্যাংকের লিস্ট নিচে দেয়া হল।
- ব্যাংক এশিয়া
- ব্র্যাক ব্যাংক
- ইআরবিআইএল
- সিটি ব্যাংক
- ইউসিবি
- এবি ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- মিডল্যান্ড ব্যাংক
- এমবিএল রেইনবো ব্যাংক।
উপরে উল্লেখিত ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি ই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। এবং পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে আপনার কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবেন।
তবে এই সমস্ত ব্যাংক ছাড়াও আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করার মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে, বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি মাস্টারকার্ড আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সেগুলোর মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে যেভাবে আপনি ফি জমা দিবেন ঠিক একই রকমভাবে আপনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
কারণ এখানে পেমেন্ট মেথড হিসেবে যে সমস্ত পেমেন্ট মেথড দেয়া থাকবে সেটার মধ্যে থেকে যেকোনো একটিতে ক্লিক করলেই আপনি তার মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন।
তাহলে আর দেরি না করে এখনি জেনে নেয়া যাক পাসপোর্ট ফি জমা ব্যাংক এর মাধ্যমে কিভাবে দিবেন? পাসপোর্ট ফি ব্যাংকের মাধ্যমে কিভাবে জমা দিবেন বা পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম।
পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম
আপনি যদি ঘরে বসে খুব সহজেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে চান, তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
ধাপ ১- প্রথম ধাপ হিসাবে আপনাকে প্রথমত নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে এবং তারপরে আমার দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
জমা দিনযখন আপনি উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন, তখন নিম্নলিখিত স্ক্রীনশটএর মত একটি পেজ দেখতে পারবেন। এবার আপনি যেহেতু পাসপোর্ট ফি জমা দিতে চান সে জন্য “ই-পাসপোর্ট ফি” অপশন এর উপরে ক্লিক করে দিতে হবে।
ধাপ-২ঃ এটি হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখানে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট রিলেটেড ইনফরমেশনগুলো যথাযথভাবে ফিলাপ করে দিতে হবে।
এখানে আপনার পাসপোর্ট যত পৃষ্টার সেই পৃষ্ঠা নির্বাচন করতে হবে। এবং তারপরে আপনি এই পাসপোর্ট ডেলিভারি কিভাবে নিবেন সেটির ধরন নিশ্চিত করে নিতে হবে।
এই দুইটি অপশন ফিলাপ করে নেয়ার পরে আপনি অটোমেটিকলি দেখতে পারবেন, আপনাকে ঠিক জত টাকা পেমেন্ট করতে হবে বা পেমেন্ট এর জন্য কত টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
অপশনগুলো যথাযথভাবে ফিলাপ করে নেয়ার পরে ‘Ok‘ নামের যে বাটন রয়েছে, সেই বাটনটির উপরে ক্লিক করে দিন।
ধাপ-৩ঃ এই অপশনটিতে আপনি, আপনার ইনফরমেশন গুলো দিয়ে ফিলাপ করে নেয়ার মত কিছু অপশন দেখতে পারবেন। যে ব্যক্তির পাসপোর্ট ফি জমা দিবেন সেই ব্যক্তি রিলেটেড সমস্ত ইনফরমেশন দেয়ার মত অপশন গুলো দেখতে পারবেন।
যে ব্যক্তির পাসপোর্ট ফি জমা দিবেন সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর সনাক্তকরণ নম্বর, আইডি কার্ড অনুরূপ নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। ইমেইল অপশনাল, আপনার ভাল লাগলে লিখতে পারেন না হলে এড়িয়ে যেতে পারেন।
ধাপ-৪ঃ এবার আপনি যে পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করে নিতে চান সেটি সিলেক্ট করে নিতে পারেন। আপনি যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিতে চান সেই ব্যাংক সিলেক্ট করে নিতে পারেন।
আপনার যদি যেকোনো ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে এবং সেই ব্যাংক যদি এখানে মেনশন করা থাকে কিংবা দেয়া থাকে, তাহলে আপনি সেই ব্যাংক এর উপরে ক্লিক করে ব্যাংক এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন।
যখনই পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন, পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার যে পেইজ রয়েছে সেই পেজের উপরের দিকে আপনি লিঙ্কের মধ্যে কিছু সংখ্যা দেখতে পারবেন।
এই সংখ্যাগুলো হলো আপনার পাসপোর্ট এর চালান নাম্বার। যার মাধ্যমে আপনি ই চালান ফরম টি ডাউনলোড করে নেবেন।
লক্ষ্য করলে আপনি দেখতে পারবেন লিংকের মধ্যে 6532-00019740531 এ ধরণের একটি নম্বর খুজে পাবেন, যেটি আপনার এ চালান নম্বর। যে নাম্বারটি আপনি লিংকে গিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিতে পারবেন।
এবং যদি আপনার চালান নাম্বারটি সঠিক থেকে থাকে এবং পেমেন্ট সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে আপনি এই রিলেটেড ইনফরমেশন দেখতে পারবেন এবং আপনার কপি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
পেমেন্ট করার সময় সর্তকতা
যখনই আপনি পেমেন্ট করবেন তখন আপনাকে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। যে সমস্ত সর্তকতা পেমেন্ট করার জন্য আপনাকে অবলম্বন করতে হবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
পেমেন্ট করার সময় অনেক সময় পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও দেখাবে যে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়নি। অর্থাৎ টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এগুলো দেখাতে পারে।
দেখা যাবে যে আপনি পেমেন্ট করেছেন আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে গেছে তারপরেও এই রিলেটেড কোন একটি সমস্যা রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আপনি পেমেন্ট পেইজ ভুলেও ক্লোজ করবেন না।
পেমেন্ট পেজের উপরের দিকে আপনি চালান নাম্বারটি দেখতে পারবেন। এখান থেকে চালান নাম্বারটি কপি করে নিবেন এবং এটি সংগ্রহে রেখে দিবেন তাহলে আপনি ই- চালান ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
পেমেন্ট করার সময় অবশ্যই ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এ চলে যাবেন। কারণ আপনার ইন্টারনেট কানেকশন যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি পেমেন্ট করার সময় বিভিন্ন রকমের জটিলতায় পড়তে পারেন।
এছাড়াও, আপনি যখন ফরম ফিলাপ করবেন তখন এখানে যে নাম দিবেন সেই নামটি অবশ্যই সঠিক অক্ষরে লিখে দিবেন। অর্থাৎ আপনার আইডি কার্ডে যেভাবে নাম লেখা রয়েছে ঠিক সেভাবে লিখে দিতে হবে।
কারণ আপনি যদি ভুল ইনফরমেশন দিয়ে পেমেন্ট করেন তাহলে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হবে না।
যদি পেমেন্ট সম্পূর্ণ না হয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই রিফান্ড নিতে চাইবেন। যা খুবই সময়সাপেক্ষ এবং জটিল একটি বিষয়। সেজন্য ইনফরমেশনগুলো দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
কিভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি পাসপোর্ট ফি জমা দিবেন? কিভাবে পাসপোর্ট ফি জমা ব্যাংকের মাধ্যমে কিভাবে দিবেন? সেই রিলেটেড যাবতীয় তথ্য উপরে আলোচনা করা হলো।
Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!
নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷