আপনি যদি যেকোনো একটি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন কিংবা লোন নেয়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে এই লোন সংক্রান্ত অনেকগুলো বিষয়ে এর মধ্যে একটি বিষয় সম্পর্কে আপনার মাথায় চিন্তাভাবনা আসতে পারে আর সেটি হল ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম আসলে কি হতে পারে?
যে কোন একটি ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ লোন নেওয়ার পরে আপনাকে অবশ্যই এই লোন পরিশোধ করতে হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে লোন পরিশোধের নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে ব্যাংক লোন পরিষদের যে বিষয়টি রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করে থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সমস্ত নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম কেমন হতে পারে?
যেকোনো একটি ব্যাংক থেকে আপনি কত টাকা লোন নিয়েছেন সেটির উপর নির্ভর করবে আপনার জন্য সেই লোন পরিশোধ করার যে নিয়ম রয়েছে সেটি আসলে কেমন হবে?
ব্যাংক লোন পরিষদের ক্ষেত্রে ব্যাংক যে সমস্ত বিষয়গুলো তাদের মাথায় রাখে কিংবা যে সমস্ত নিয়ম আরোপ করতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
আপনি যেই পরিমাণে লোন নিবেন, সেটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করার প্রয়োজন হয়। এবং ব্যাংক লোন অবশ্যই প্রতি মাসে পরিশোধযোগ্য।
যেমন, আপনি যদি ১০০ টাকা ব্যাংক লোন নেন, এবং তারপরে আপনি যদি এই টাকা দুই মাসে মেয়াদের জন্য নেন। তাহলে আপনাকে এই টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রতি মাসে ৫০ টাকা করে দিতে হবে।
এছাড়াও ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু সুদ প্রযোজ্য হয়ে, যার কারণে আপনি যদি ব্যাংক থেকে ১০০ টাকা নেন, এবং তারপরে আপনি যদি ১০০ টাকা পরিশোধ করেন তাহলে আপনার ব্যাংক থেকে আপনি যে লোন নিয়েছেন সেটি পুরোপুরি ভাবে পরিশোধ হবে না।
আপনি যত সুদে ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিয়েছেন সেই হিসাব ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ৫% সুদে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ১০০ টাকার সাথে আরো ৫ টাকা সম্পৃক্ত করে নিতে হবে।
এবং এই হিসাবের মাধ্যমে যে কোন একটি ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে এবং তারপরে তারা যত বছরের জন্য আপনাকে লোন দিয়েছেন সেই হিসাব নিকাশ করে থাকেন।
ব্যাংক লোন নেয়া কি ঠিক?
বাংলাদেশে এরকম কোন ব্যাংক নেই যারা আপনাকে কোন রকমের সুদ ছাড়া লোন দিবে। অর্থাৎ আপনি যদি ব্যাংক থেকে ১০০ টাকা নেন তাহলে আপনি ১০০ টাকা পরিশোধ করবেন এরকম কোন ব্যাংক নেই।
আপনাকে অবশ্যই কড়া সুদে ব্যাংকগুলো নিতে হয়। আর ব্যাংকগুলো নেয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু সুদ প্রযোজ্য হয় সেজন্য আপনাকে ব্যাংক লোন নেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং যথাসম্ভব ব্যাংক থেকে লোন নেয়া পরিহার করতে হবে। যদি আপনি দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলকাম হতে চান।
সুদ নিয়ে আপনি যদি কিছু কুরআনের আয়াত দেখেন, এবং একই সাথে আপনি যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু হাদিস দেখেন, তাহলে আপনি এই সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবেন যে সুদের সাথে জড়ানো কতটা অন্যায় কাজ।
‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০
আমরা (আমি, জিবরাইল ও মিকাইল) চলতে চলতে একটি রক্ত নদীর পাড়ে পৌঁছলাম। নদীর মাঝে এক লোক দাঁড়িয়ে আছে। তীরে দাঁড়িয়ে আছে আর এক জন। তার কাছে কিছু পাথর আছে। নদীর ভিতরের লোকটি তীরে এসে যখনই পাড়ে উঠার চেষ্টা করে তখনই তীরের লোকটি তার মুখ বরাবর পাথর ছোঁড়ে তাকে আগের জাগায় ফিরিয়ে দেয়। যত বার উঠার জন্য অগ্রসর হচ্ছে তত বারই মুখের ওপর পাথর ছোঁড়ে পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমি বললাম, এ কে? তারা (জিবরাইল ও মিকাইল) উত্তর দিল, নদীর ভেতরের লোকটি একজন সুদখোর। -সহিহ বোখারি: ২০৮৫
ব্যাংক লোন পরিষদের যে নিয়ম রয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!
নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷