আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন করতে চান কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে কোন টাকা ইসলামী ব্যাংকে আনতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে সেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে প্রধান যে প্রশ্নটি রয়েছে সেটি হল ইসলামী ব্যাংক ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা কি কিংবা আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন তাহলে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কি রকমের ব্যবহারবিধি প্রয়োজন হবে।
অর্থাৎ এই কার্ডের চার্জ আসলে কত টাকা হতে পারে কিংবা এ ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি কি কি রকমের সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন? সেই সংক্রান্ত তথ্যগুলো এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড সুবিধা কি?
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড এবার করেন তাহলে এই কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নানা রকমের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন এবং এই সমস্ত সুবিধাগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু নিচে তুলে ধরা হলো।
- নগদ ফরেন কারেন্সি (FC) বহন করার প্রয়োজন নেই।
- আপনি চাইলে এই কার্ডটি একদম ফ্রিতে ইস্যু করতে পারবেন। অর্থাৎ কার্ড ইস্যু করার জন্য কোন রকমের চার্জের প্রয়োজন হয় না।
- এই কার্ড থেকে আপনি যদি টাকা তুলতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পিন নাম্বার দেয়ার মাধ্যমে টাকা তুলতে হবে কিংবা এটি একটি পিন প্রোডাক্টের কার্ড।
- বিদেশে অবস্থিত ভিসা সম্মোচিত এটিএম বুথ থেকে কিংবা পিওএস থেকে লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
- খুব সহজে যে কোন রকমের কেনাকাটার সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
- যে কোন রকমে ট্রানজেকশন এর পরে এসএমএস এলার্ট এর সুবিধা পাবেন।
- এই কার্ড থেকে আপনি লাইফস্টাইল সমাধান পেতে পারেন এবং যে কোন রকমের ডিসকাউন্ট এবং অফারসহ নানা আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
- এই কাজটি আপনি চাইলে যে কোন দেশে ব্যবহার করতে পারবেন।
- এই কার্ডের মেয়াদ তিন বছর।
- যদি কোন কারনে আপনার হাতে থাকা কার্ডটি হারিয়ে যায় তাহলে আপনি চাইলে নতুন কার্ড ইস্যু করতে পারবেন এবং সে ক্ষেত্রে নতুন ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ইস্যু করার জন্য আপনাকে চার্জ দিতে হবে।
- এছাড়াও দিনে ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন কন্টাক্ট সেন্টারের মাধ্যমে আপনি সেবা নিতে পারবেন।
- ইসলামী ব্যাংকে যদি আপনার কোন ব্যাংক একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে এই কার্ড নিতে পারবেন।
- এই কার্ডে ফরেন রেমিট্যান্স রিসিভ করলে ২.৫% প্রনোদনা সুবিধা রয়েছে।
- এই কার্ডে আপনাকে প্রাথমিকভাবে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। এবং আপনি চাইলে আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স জিরো করতে পারবেন। ইত্যাদি।
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ডের সুবিধা
এছাড়াও যে কোন একটি পণ্যের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক একই রকমভাবে এর অপজিট সাইট হিসেবে অসুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ডের অসুবিধা হিসেবে যে সমস্ত বিষয়াদি রয়েছে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- যে কোন রকমের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে ১ পার্সেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে।
- যখন আপনি এই কার্ড ইস্যু করবেন কিংবা নিজের হাতে পেয়ে যাবেন, তখন আপনি একটি বিষয়ে লক্ষ্য করবেন, আর সেটি হল আপনার ব্যবহৃত এই কার্ডে আপনার কোন নাম নেই।
- এই কার্ড অটো রিনিউ করার কোন সুবিধা নেই।
- প্রাথমিকভাবে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করা লাগে। তবে সেটি আপনি পরে ব্যবহার করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ফি
যে কোন একটি কার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু চার্জ বরাদ্দ করতে হয়। যেটি তাদের সার্ভিস চার্জ হিসেবে অধিক পরিচিত।
- ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ফি হিসেবে যে সমস্ত ফি বিদ্যমান রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:
- কার্ড ইস্যু করা একদম ফ্রি।
- বাৎসরিক ফি হিসেবে আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না।
- নবায়ন করা একদম ফ্রি।
- ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড রিপ্লেস্মেন্ট করার ক্ষেত্রে ২০০ টাকা চার্জ হবে।
- পিন রিপ্লেসমেন্ট কিংবা রিসেট ফি ৫০ টাকা।
- কার্ড বন্ধ করা কিংবা ফান্ড ফেরত ফি ২০০ টাকা।
- এটিএম থেকে ফান্ড ট্রান্সফার ফি।
এছাড়াও এই কার্ড থেকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ফি ও চার্জ
- ক্যাশ উত্তোলন ফি: US ১ ডলার + লেনদেনকৃত পরিমাণের ২%;
- POS পার্সেজ ফি: ইস্যুকারী হিসাবে ১%;
- ব্যালেন্স ইনকোয়ারি ফি: US ০.৫০ ডলার;
- ই-কমার্স ট্রান্সজেকশন ফি: ইস্যুকারী হিসাবে ১%;
- কার্ড এনডোর্সমেন্ট ফি: ফ্রি।
* এছাড়াও সরকারী নিয়ম অনুসারে ফি ও চার্জের সাথে ১৫% ভ্যাট ও ট্যাক্স যুক্ত হবে।
Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!
নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷