বিভিন্ন পার্সোনাল কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের মধ্যে যারা ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন, তারা ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন।
কারণ অন্যান্য যে সমস্ত ব্যাংকসমূহক রয়েছে সে সমস্ত ব্যাংকের প্রায় পার্সোনাল কার্য সম্পাদনের জন্য পার্সোনাল লোন রয়েছে। আর তাই আমরা মনে করি ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন থাকতে পারে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রায় সকলেই ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেয়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকি। তবে ইসলামী ব্যাংক থেকে Personal Loan নেয়া কি যাবে?
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য অন্যান্য ব্যাংকে পার্সোনাল লোন রিলেটেড একটি লোন ব্যবস্হাপনা থাকলেও ইসলামী ব্যাংক এই রিলেটেড কোন রকমের লোন পরিচালনা করেনা।
তবে, পার্সোনাল লোন ব্যবস্থা পরিচালনা করা না হলেও, এই রিলেটেড লোনের মতো ভিন্ন আরেকটি নামে অর্থাৎ অন্য আরেকটি সেবায় আপনি পার্সোনাল লোন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
মূলত, নাম পরিবর্তন হলেও পার্সোনাল লোন নেয়ার খাত সমূহের মধ্যে যেগুলো উল্লেখযোগ্য সেগুলো এই লোন নেয়ার মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন। যার কারণে নাম ভিন্ন হলেও এটিকে পার্সোনাল লোন বলে আখ্যা দেয়া যায়।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন কিভাবে নিবেন?
উপরে মেনশন করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকে এই রিলেটেড কোন রকমের নেই। তবে এই একি লোন সুবিধা ভিন্ন আরেকটি নামে পরিচালনা করা হয়, যাকে বলা হয় হাউজহোল্ড ইনভেস্টমেন্ট লোন ব্যবস্থা।
মূলত, এই লোন সেবার মাধ্যমে আপনি পার্সোনাল লোন নেয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, সেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
লোন নেয়ার নিয়ম কানুন
এই লোন নেয়ার মাধ্যমে নতুন বাড়ি তৈরি কিংবা অন্যান্য পার্সোনাল কাজে ব্যবহার করা যাবে, এবং লোন নেয়ার বিভিন্ন রকমের নিয়ম-কানুন বিদ্যমান রয়েছে।
লোনের পরিমাণ:
- সমস্ত মেট্রোপলিটন শহরগুলির জন্যঃ ০.০৩ মিলিয়ন টাকা।
- জেলা ও পৌরসভাগুলির জন্যঃ ০.২০ মিলিয়ন টাকা।
- অন্যান্যঃ ০.১০ মিলিয়ন টাকা।
লোন নেয়ার বয়স সীমাঃ আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে কমপক্ষে ১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। অন্যান্য যে কোন পেশাজীবী হয়ে থাকলে সর্বনিম্ন ২৭ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে লোন নিতে পারবেন।
লোন এর সময়সীমাঃ এই লোন কার্যক্রম ৩ বছরের মধ্যে পরিসমাপ্তি করতে হবে; হঠাৎ এই লোন এর সময়সীমা সর্বোচ্চ তিন বছর
রিটার্ন রেটঃ রিটার্ন রেইট হিসেবে পরবর্তী সময় আপনার কাছ থেকে ১৬% টাকা চার্জ করা হবে।
কিভাবে লোন নিবেন?
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন সেবা উপভোগ করতে চান, তাহলে প্রথমত আপনাকে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংকের একজন গ্রাহক হতে হবে। এবং তারপরে লোনের একটি ফরম ডাউনলোড করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের লোন নেয়ার ক্ষেত্রে যে ফ্রম রয়েছে সেই ফরমটি, আপনাকে ইসলামী ব্যাংক থেকে কালেক্ট করে নিতে হবে এবং তার পরেতে ফিলাপ করে নিতে হবে।
এছাড়াও লোন নেয়ার ফ্রম ছাড়াও যে সমস্ত ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো।
- আপনার স্যালারি স্টেটমেন্ট কিংবা ব্যবসার আয়ের মিনি স্টেটমেন্ট তাদের সামনে পরিবেশন করতে হবে।
- গ্রাম থেকে বাড়িতে শহরে এসে আপনি যদি এই লোন হিসেবে নিতে চান, তাহলে আপনার ব্যবসায় এর কাজ সম্পর্কে ভালোভাবেই অবহিত করতে হবে।
- মাসিক ইনকাম ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে আপনি ১০ লাখ টাকা লোন নিতে পারবেন। এবং কম হলে ১০ লাখের কম লোন সেবা নিতে পারবেন।
- এবং ইনভেস্টমেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের যে সমস্ত শর্তাবলী রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে একমত পোষণ করতে হবে। তাছাড়া জাতীয় আইডেন্টিফাই এবং স্বত্বাধিকারীর অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও লোন রিলেটেড বিভিন্ন রকমের তত্ত্বের উত্তর জানার জন্য ইসলামী ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার রয়েছে সেই হেল্পলাইন নাম্বারে কল করার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার: 16259
উপরে উল্লেখিত কল সেন্টার নাম্বার এ কল করার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের যে সমস্ত সেবা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া সম্ভব।
এছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের আরো যে সমস্ত লোন ব্যবস্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য নিম্নলিখিত আর্টিকেলটি ভালোভাবে দেখে নিতে পারেন।
জেনে নিন: ইসলামী ব্যাংক লোন ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত
আশাকরি, ইসলামী ব্যাংকের এই লোন সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পেরেছেন।
Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!
নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷