ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস এর মাধ্যমে সঞ্চয়কৃত অর্থ আপনি চাইলে বিভিন্ন খাতের লাগাতে পারবেন এবং বিভিন্ন অসুবিধার সময় ব্যয় করতে পারবেন।
তবে ইসলামী ব্যাংক থেকে এই হিসাব সুবিধা নেয়ার জন্য কিছু রিকোয়ারমেন্ট এবং কিছু পলিসির রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে যে কারো জেনে নেয়া প্রয়োজন।
এক নজরে পোস্ট..
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস কি?
মূলত আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে চান, তাহলে তাদের বেঁধে দেওয়া কিছু নিয়মের সাথে, তাহলে সেটিকে ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস বলা হবে।
এই উপায়ে যে কেউ চাইলে তাদের পছন্দ অনুযায়ী একটি মেয়াদ নির্ধারণ করে ইসলামী ব্যাংকের অধীনে টাকা সঞ্চয় করতে পারবে এবং কিছু মুনাফার সাথে পরবর্তী সময়ে উত্তোলন করতে পারবে।
আর ইসলামী ব্যাংকের এই সেবা মূলত তিনটি ভিন্ন সময়সূচির জন্য।আর সেই সময়সুচি হলোঃ ৩ বছর; ৫ বছর; এবং ১০ বছর। এই সময়সীমার মধ্যে আপনি টাকা জমা রাখতে পারবেন।
এবার নির্দিষ্ট এমাউন্ট প্রতি মাসে জমা করার পরে মূল সময়সূচির পর আপনি কিছু লাভের সমন্বয়ে অর্থ পুনরায় নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস এ রিকোয়ারমেন্ট
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে এই কাজটি সম্পাদন করতে চান; তাহলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস কিংবা রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে মেনশন করা হলো।
- এই সিস্টেম যেকোনো ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য।
- যে ব্যক্তি এই অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইবে, সেই ব্যক্তিকে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি অপেনিং ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
- গ্রাহকের এক কপি রঙিন সাইজের ছবি এবং যেকোন জাতীয় পরিচয় পত্রের ডকুমেন্টস।
- একজন নমিনি নির্বাচন করতে হবে এবং নমিনির ফটোকপিসহ আইডি কার্ডের ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে।
মূলত উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস এর সমন্বয়ে যে কেউ চাইলে খুব সহজেই একটি ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং এর সেবা নিতে পারবেন।
কিস্তির হার
একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে কিস্তির হার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
- প্রতিমাসে আপনি চাইলে ৫০০ টাকার গুণিতক হিসাবে ইচ্ছামত টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন। যার সর্বনিম্ন সীমা হলো ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।
- একাউন্ট তৈরীর পরে কিস্তির হার এবং এর মেয়াদ নিজে থেকে নির্ধারণ করতে হবে।
- ব্যাংকের RDS/UPDS কর্মকর্তারা চাইলে ১০০ টাকা কিস্তি হারে এই সেবা নিতে পারবেন।
মূলত উপরে উল্লেখিত কিস্তির হার এবং সময়সীমা এর সমন্বয়ে আপনার ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হবে।
একাউন্টের কিছু সুবিধা
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলেন, তাহলে নানা রকমের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- জামেলা একেবারেই কম।
- মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি।
- নির্দিষ্ট মেয়াদের পরেও যদি আপনি টাকা না দিলেন তাহলে সেভিংস একাউন্ট এর রেটে এক্সট্রা মুনাফা লাভের সম্ভবনা রয়েছে।
- যেকোন শাখা হিসাব স্থানান্তর করা যায় ইত্যাদি।
মূলত উপরে কয়েকটি উপকারিতার কথা মেনশন করা হলো৷ তবে এ ছাড়াও আরো শত শত উপকারিতার সাথে আপনি আপনার সঞ্চয়ী হিসাব কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবেন।
সিলেট জব করি,সিলেট থেকে সিরাজগঞ্জ ব্যান্সে একটা ডিপিএস করতে চাচ্ছি ১০ বছর মেয়াদে ৩ হাজার টাকা হারে,একটু বিস্তারিত দিবেন প্লিজ
ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। বিস্তারিত জানার জন্য।