আপনি যদি বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন, এবং আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তাহলে বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন রয়েছে।
অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে খুব সহজে বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রিলেটেড বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে, বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার কি সম্ভব?
ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে আপনাকে সর্ব প্রথমে এটা জেনে নেয়ার দরকার রয়েছে, যে আপনি কি চাইলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেেন?
তাহলে এই কথাটি এক কথায় বলতে হবে যে, আপনি চাইলে খুব সহজে বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবে।
কোন কোন ব্যাংকের অধীনে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যাবে?
আপনি চাইলে বাংলাদেশি থাকা কয়েকটি ব্যাংকের অধীনে বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন, কোনো রকমের জটিলতা ছাড়া।
যে সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট আপনি বিদেশ থেকে তৈরি করতে পারবেন, সেই সমস্ত ব্যাংকের নাম নিচে মেনশন করা হলো।
- ইসলামী ব্যাংক।
- সিটিব্যাংক।
- সোনালী ব্যাংক।
- সোশাল ইসলামী ব্যাংক।
উপরে যে সমস্ত ব্যাংকের কথা মেনশন করা হয়েছে, সে সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট আপনি বিদেশে বসে বাংলাদেশের অধীনে তৈরি করতে পারবেন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং এই সমস্ত স্টেপ ফলো করার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে কি কি লাগবে?
আপনি যদি একাউন্ট তৈরী করতে চান, তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম এ সমস্ত ব্যাংক একাউন্টের যে সমস্ত সফটওয়্যার রয়েছে, সে সমস্ত সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে হবে।
আপনি যদি আপনার পছন্দের কোনো একটি ব্যাংক সিলেক্ট করে নিয়ে থাকেন, তাহলে এই ব্যাংকের অধীনে যে এই অ্যাপস এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যাবে, সেই অ্যাপটির লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন।
যখনই আপনি উপরে উল্লেখিত লিংক থেকে আপনার পছন্দের ব্যাংকের একটি সফটওয়ার ডাউনলোড করে নিবেন, তখন আপনি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন।
যেহেতু আপনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, সেজন্য আপনাকে বাংলাদেশী কোন একটি ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে এবং তারপরে ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার এড্রেস চেঞ্জ করে নিতে হবে।
নিম্নলিখিত লিংক থেকে ভিপিএন ডাউনলোড করে নিন, এবং তারপরেই ভিপিএন বাংলাদেশ সার্ভারে কানেক্ট করে নিন।
ভিপিএন যখন কানেক্ট করে নেবেন, তখন আপনাকে উপরে উল্লেখিত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে থেকে যে কোন একটি সফটওয়্যার ওপেন করে নিতে হবে।
এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক, অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য কি কি রকমের ইনফর্মেশন এর প্রয়োজন হবে।
ব্যাংক একাউন্ট তৈরীর ইনফর্মেশন
একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ইনফরমেশনগুলো সাথে রাখতে হবে, অন্যথায় আপনি একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন না।
- বাংলাদেশ ফোন নাম্বার ( আপনি চাইলে আপনার নিকট আত্মীয় কারো ফোন নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন)
- ইমেইল এড্রেস।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের সনদ।
- একজন নমিনি নির্বাচন করা।
উল্লেখিত ইনফরমেশন গুলো আপনার সাথে থেকে থাকলে, উপরে উল্লেখিত সফটওয়্যার থেকে যে কোন একটি সফটওয়্যার প্রবেশ করার পরে, আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
আপনি যেকোন বাংলাদেশি ফোন নাম্বার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তি কে কল করে লাইনে থেকে, তারপরে তার কাছ থেকে কনফার্মেশন এসএমএস এনে একাউন্ট এক্টিভেট করে নিতে পারবেন।
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে
বিদেশ থেকে আপনার যদি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে আপনাকে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদের সাথে যুক্ত রয়েছে, সেজন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ইসলামিক ব্যাংক সিলেক্ট করে নিতে হবে। যদি আপনি সত্যবাদী হোন।
কারণ, এই সমস্ত সুদী কারবার এর সাথে না জড়িয়ে ইসলামিক ব্যাংকিং এর সাথে জড়িয়ে আপনার দুনিয়া এবং আখিরাত মঙ্গলময় করতে পারবেন।
এ সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াও আপনি যদি আরো বিভিন্ন রকমের ব্যাংকে অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করতে চান তাহলে নিম্নলিখিত আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম | ১৬ টি ভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট
Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!
নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷