সিটি ব্যাংকের একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি চাইলে সিটি ব্যাংক ল্যান রয়েছে সেই City Bank Loan উপভোগ করতে পারেন।
মূলত, অন্যান্য ব্যাংকের মতো সিটি ব্যাংক খুব বেশি রকমের সুযোগ-সুবিধার সাথে কাস্টমারদের লোন নেয়ার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। তবে সবার আগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া প্রয়োজন।
সিটি ব্যাংক বিভিন্ন রকমের লোনসেবা রয়েছে এবং কোন কোন খাতের জন্য আপনি কত টাকা? এবং কত পার্সেন্ট সুদে লোন নিতে পারবেন সেই সম্পর্কেও জানা আবশ্যক।
কাজেই আর দেরি না করে এখনি এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক এবং দেখে নেয়া যাক সিটি ব্যাংকের লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
সিটি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ
সিটি ব্যাংকের একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের কাজ সম্পাদনের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে লোন সেবা নিতে পারবেন।
City Bank Loan নেয়ার মোট ৪টি প্রকারভেদ রয়েছে।
সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য যে সমস্ত খাত বা প্রকারভেদ রয়েছে সেগুলো নিচে মেনশন করা হলো।
- অটো লোন
- পার্সোনাল লোন
- হোম লোন
- বাইক লোন
মূলত, উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি খাতের জন্য City Bank Loan নিতে পারবেন।
এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক এ সমস্ত খাতে ঋণ নেয়ার জন্য কি রকমের রিকোয়ারমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়াদি প্রয়োজন হবে।
সিটি ব্যাংক অটো লোন
আপনি যদি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার মাধ্যমে আপনার পছন্দের যে কোন বিষয়ে সম্পাদন করতে চান, তাহলে সিটি ব্যাংকের যে অটো লোন প্রসেস হয়েছে সেটি নিতে পারেন।
লোন নেয়ার ফিচারস
- আপনি সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন।
- এছাড়াও যানবাহন করার ক্ষেত্রে সর্বমোট টাকার ৫০% আপনি তাদের থেকে নিতে পারবেন।
- লোন পরিশোধ করতে হবে সর্বনিম্ন ১২ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৭২ মাসের মধ্যে।
- এই লোন নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকমের হিডেন চার্জ নেই।
লোন নেয়ার যোগ্যতা
- যে ব্যক্তি লোন নিতে চায় সে ব্যক্তির বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- কমপক্ষে ১ বছরের যে কোন ব্যবসা করার প্রাক্টিসিং এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে।
- বিজনেসম্যান হয়ে থাকলে ২ বছরে কোন বিজনেসের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ দেখাতে হবে।
- যাদের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি তাদের জন্য এই City Bank Loan প্রযোজ্য।
- কোন পার্সোনাল গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে না।
আপনি যদি লোন নিতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত লিংক থেকে লোন নেয়ার যে সমস্ত বেসিক ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন
এছাড়াও City Bank Loan নেয়ার মাধ্যমে আপনি যদি সে কোন পারসোনাল কাজ সম্পন্ন করতে চান, তাহলে সিটি ব্যাংকের যে পার্সোনাল লোন রয়েছে সেই পার্সোনাল লোন নিতে পারেন।
সিটি ব্যাংকের এই পার্সোনাল লোন সেবার যে সমস্ত ফিচারস এবং অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
লোন নেয়ার ফিচারস
- যে কোন ব্যক্তির সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।
- সর্বনিম্ন ১২ মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে।
- কোনো রকমের হিডেন চার্জ নেই ।
- কম্পেটিতিভ ইন্টারেস্ট রেট বিদ্যমান রয়েছে।
- লোন নেয়ার যোগ্যতা
- ব্যক্তির বয়সসীমা সর্বনিম্ন ২২ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- যেকোনো স্যালারি কাজ করে থাকলে সেই কাজের স্যালারী কমপক্ষে এক বছরে স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
- যে কোন কাজের জন্য দুই বছরের প্রাক্টিসিং এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে।
- বিজনেসম্যান হয়ে থাকলে কমপক্ষে ৩ বছরের প্রাক্টিসিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এই লোন নেয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ডকুমেন্টস এবং রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন হবে, সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চাইলে নিম্নলিখিত লিংক থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
সিটি ব্যাংক হোম লোন
এছাড়াও ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার মাধ্যমে আপনি যদি নতুন বাড়ি তৈরি করতে চান, তাহলে সিটি ব্যাংকের যে হোম লোন সেবা রয়েছে সেই হোম লোন সেবা নিতে পারেন।
লোন নেয়ার ফিচারস
- সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা অবধি লোন নেয়া সম্ভব।
- সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
- এই লোন নেয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কম্পিটিটিভ ইন্টারেস্ট রেট।
লোন নেয়ার যোগ্যতা
- যে ব্যক্তি লোন নিতে চায় সেই ব্যক্তির বয়স সীমা সর্বনিম্ন ২২ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- যেকোনো কাজের দক্ষতা কমপক্ষে তিন বছর হতে হবে, তাও একটি প্রেক্টিস এক্সপেরিয়েন্স হতে হবে।
- যে ব্যক্তি লোন নিয়ে সে ব্যক্তি যদি সরকারি কোন চাকরিজীবী হয়ে থাকে, তাহলে তার বেতন ৩০ হাজার টাকা হতে হবে।
- যে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি রত অবস্থায় থাকলে সেখানে তার বেতন ৫০ হাজার টাকা বেশি হতে হবে।
আর উপরে উল্লেখিত রিকোয়ারমেন্ট এর সাথে আপনার রিকোয়ারমেন্ট যদি মিলে যায়, তাহলে আপনি হোম লোন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
আবেদন করার জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে, সেগুলো সম্পর্কে জানতে হলে নিম্নলিখিত লিংক থেকে পিডিএফ ফরমেট ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।
উপরে উল্লেখিত লিংক থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নেয়ার পরে এখানে যে সমস্ত ডকুমেন্টস এর কথা বলা হবে সেগুলো সাথে নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে উপস্থিত হন।
সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাইলে এই লোন প্রসেসিং এর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন
এছাড়াও সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার মাধ্যমে আপনি যদি মোটরযান ক্রয় করতে চান কিংবা বাইক ক্রয় করতে চান তাহলে City Bank Loan সেবা উপভোগ করতে পারেন।
লোন নেয়ার ফিচারস
- যেকোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা অব্দি লোন নিতে পারবেন।
- এছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল কাজ করার জন্য বাইক ক্রয় করার ক্ষেত্রে বাইকের মোট মূল্যের ৮০% ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন।
- সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে।
- ১.৫% প্রসেসিং ফি প্রযোজ্য হবে।
লোন নেয়ার যোগ্যতা
- বয়স সীমা সর্বনিম্ন ২১ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে সেলারি পারসন হিসেবে এক বছর নিয়োজিত থাকতে হবে।
- একজন বিজনেসম্যান, ফ্রিল্যান্সার কিংবা অন্যান্য কাজের কর্মকর্তা হিসেবে এক বছরের চাকরি দেখতে হবে।
- রাইড শেয়ারিং করার ক্ষেত্রে ৬ মাসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- এছাড়াও বিদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা হলে ৬ মাসের বেতন পাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- এছাড়াও একজন বেতনভোগী কর্মী হলে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১২ হাজার টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে মাসে ৩০,০০০ টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
- রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ম্যান হয়ে থাকলে মাসে ১৫,০০০ টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
- বিদেশি হয়ে থাকলে মাসে ২০,০০০ টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
আর উপরে উল্লেখিত রিকয়ারমেন্ট যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে আপনি সহজেই বাইক লোন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
আর এটি হল মূলত City Bank Loan এর যে চার ধরনের সেবা রয়েছে সেই লোন সেবা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য।
আশাকরি, সিটি ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পেরেছেন।
Also Read:
Banks-bd.com এখন ইউটিউবে!!
নিত্য নতুন ব্যাংকিং রিলেটেড ইউটিউব ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন৷
Nice system