যদি আপনি একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করেন এবং ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার পরে আপনি যদি সেই একাউন্টে লেনদেন না করেন সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন থাকে, ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন না থাকলে কি হবে?
যে কোন রকমের ব্যাংক একাউন্টে আপনি যদি লেনদেন না করেন, তাহলে সে ব্যাংক একাউন্টের সাথে কি হবে কিংবা এই একাউন্ট কি বন্ধ হয়ে যাবে? সেই সম্পর্কিত তথ্য এখানে আলোচনা করা হবে।
পোস্টের ভিতরে যা থাকছে
ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন না থাকলে কি হবে?
একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো সেই ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করা। এখন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেই একাউন্টে লেনদেন না করেন, তাহলে আপনার একাউন্টে কিছু পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করবেন।
এর মধ্যে থেকে অন্যতম হলো, আপনার একাউন্টে যে ৫০০ টাকা আপনি জমা রেখেছেন, সেই টাকা থেকে আপনার একাউন্টে যে চার্জ রয়েছে সেটি কাটা শুরু হয়ে যাবে। বিষয়টি সহজ করে বলতে গেলে এটা বলতে হবে যে, ব্যাংকের নির্দিষ্ট রকমের ফি রয়েছে, যার নির্দিষ্ট দিন পর পর একাউন্ট থেকে কাটা হয়।
যেমন, আপনার ব্যাংক একাউন্টে, ফি হিসেবে এসএমএস ব্যাংকিং চার্জ, অ্যাকাউন্ট মেনটেনেন্স চার্জ, এবং একই সাথে আপনি যে একাউন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে লেনদেন করেছেন সেই লেনদেনের জন্য চার্জ কাটা হয়। এবং সেটি ৩ মাস কিংবা ৬ মাস পর পর কাটা হয়।
এখন আপনি যদি অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন না করেন তাহলেও আপনার একাউন্ট থেকে সেই চার্জ গুলো কাটা হবে। এবার আপনার একাউন্টে যত টাকা জমা থাকবে, সেই টাকা থেকে সেই চার্জগুলো কাটা যাবে।
কি হবে যদি আপনার একাউন্টের টাকা ফুরিয়ে যায়?
যখন আপনার একাউন্টে টাকা ফুরিয়ে যাবে, তখন সেটি মাইনাস আকারে থাকবে। অর্থাৎ পরবর্তীতে যখন আপনি একাউন্টে টাকা ঢুকাবেন তখন সেই নিশ্চয় এমাউন্টে টাকা আপনার একাউন্ট থেকে কাটা যাবে।
এবার আপনি যদি বেশ কয়েক বছর যাবত একাউন্টে লেনদেন না করেন, তাহলে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার কাছে ফোন আসতে পারে কিংবা আপনি যে ব্রাঞ্চে একাউন্ট তৈরি করেছেন সেখান থেকে কল আসতে পারে। এবং তারপরে তারা আপনাকে একাউন্ট অব্যবহৃত রাখার কারণ জিজ্ঞেস করতে পারে। সাথে এটাও জিজ্ঞেস করবে আপনি অ্যাকাউন্ট আর ব্যবহার করবেন কিনা।
এবার আপনার দেয়া উত্তরের উপর ভিত্তি করে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।